শীর্ষ সংবাদ
দৈনিক সিলেট ডটকম-এ বিজ্ঞাপণ দিন আপনার প্রতিষ্ঠানের সুনাম বিশ্বময ছড়িয়ে দিন
সিলেটের সাথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে
প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট
রুটের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে জেলার কসবায় মালবাহী বগি লাইনচ্যুত হলে বন্ধ হয়ে যায়
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেটের ট্রেন চলাচল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে
আখাউড়া থেকে একটি উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন এসে সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর
ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে।
কসবা মন্দবাগ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় এ পথের সব ধরনের ট্রেন চলাচল। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে।
কসবা মন্দবাগ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় এ পথের সব ধরনের ট্রেন চলাচল। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে।
সিলেট-ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন চলাচল বন্ধ
সিলেট-ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় মালবাহী বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেটের ট্রেন চলাচল। মঙ্গলবার সকালে কসবা মন্দবাগ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় এ পথের সব ধরনের ট্রেন চলাচল। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে।
আখাউড়া থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
আখাউড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুর ইসলাম জানান, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের গঙ্গাসাগর এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগামগামী মেইল ট্রেনে মঙ্গলবার ভোরে ডাকাতি হয়েছে।
জিআরপি পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জসিমউদ্দিন নামে একজনকে আটক করেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় মালবাহী বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেটের ট্রেন চলাচল। মঙ্গলবার সকালে কসবা মন্দবাগ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় এ পথের সব ধরনের ট্রেন চলাচল। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে।
আখাউড়া থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
আখাউড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুর ইসলাম জানান, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের গঙ্গাসাগর এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগামগামী মেইল ট্রেনে মঙ্গলবার ভোরে ডাকাতি হয়েছে।
জিআরপি পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জসিমউদ্দিন নামে একজনকে আটক করেছে।
সিলেটে জামায়াতের হরতাল পিকেটিং গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে চলছে
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা একেএম ইউসূফকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে
সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সিলেটে গাড়ি ভাংচুর, পটকা বিষ্ফোরণসহ বিক্ষিপ্ত ঘটনার
মধ্য দিয়ে চলছে। জামায়াত-শিবির কর্মীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং এবং
রাস্তা অবরোধ করছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় নগরীর উপশহরে জামায়াত-শিবির ঝটিকা মিছিল বের করে। তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও রোড ডিভাইডার রাস্তায় ফেলে সড়ক অবরোধ করে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করে। এসময় একটি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।
এছাড়া মোটর সাইকেল দিয়ে ঝটিকা মিছিল চালিয়ে কুমারপাড়ায় একটি ট্রাক, শাহী ঈদগাহে ২টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। আতঙ্ক ছড়াতে শিবির নেতাকর্মীরা শাহী ঈদগাহে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটায়।
সকাল পৌণে ৭টার দিকে নগরীর মিরাবাজারে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় শিবির নেতাকর্মীরা। পরে তারা মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
হরতালে নগরীতে কিছু রিকশা-অটোরিকশা বিছিন্নভাবে চলাচল করলেও ভারী কোন যান চলাচল করছেনা। সিলেট থেকে কোন দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি বা বাইরে থেকে প্রবেশও করেনি।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সকল পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর রাজপথে বিজিবি ও র্যাব টহল দিচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় নগরীর উপশহরে জামায়াত-শিবির ঝটিকা মিছিল বের করে। তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও রোড ডিভাইডার রাস্তায় ফেলে সড়ক অবরোধ করে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করে। এসময় একটি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।
এছাড়া মোটর সাইকেল দিয়ে ঝটিকা মিছিল চালিয়ে কুমারপাড়ায় একটি ট্রাক, শাহী ঈদগাহে ২টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। আতঙ্ক ছড়াতে শিবির নেতাকর্মীরা শাহী ঈদগাহে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটায়।
সকাল পৌণে ৭টার দিকে নগরীর মিরাবাজারে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় শিবির নেতাকর্মীরা। পরে তারা মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
হরতালে নগরীতে কিছু রিকশা-অটোরিকশা বিছিন্নভাবে চলাচল করলেও ভারী কোন যান চলাচল করছেনা। সিলেট থেকে কোন দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি বা বাইরে থেকে প্রবেশও করেনি।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সকল পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর রাজপথে বিজিবি ও র্যাব টহল দিচ্ছে।
সাভারে অভিযান সমাপ্ত : নিহত ১১২৭
সাভারে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হল বাংলাদেশের
এক বেদনাবিদুর অধ্যায়ের। গত ২৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে আটটার দিকে সাভারের রানা
প্লাজা ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২৭।
সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় উদ্ধার পরিচালনাকারী দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সমাপ্তির এ ঘোষণা শুনেই কান্নাকাটি শুরু করেন সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অপেক্ষমাণ স্বজনেরা । যাদের অনেকেই খুঁেজ পাননি তার প্রিয় স্বজনের লাশ।
দেশের শিল্পের সবচাইতে বড় বিপর্যয়কর ও প্রাণহানির এ ঘটনার অভিযান শেষ হল ২০ দিনে। কাল (মঙ্গলবার) ভোর ছয়টায় ধ্বংসস্তূপ এলাকার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছে।
সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তরের কর্নেল ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, রবিবার বিকালের পর থেকে জীবিত বা মৃত আর কাউকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আর কোনো মৃতদেহ নেই। তাই মঙ্গলবার ভোর ছয়টার মধ্যে ভবনটি জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্যমতে, ধসে পড়া ভবন থেকে জীবিত ও মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৩৫৫৩ জনকে। এর মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ১১১৫ টি। জীবিত উদ্ধারের পর হাসপাতালে মারা যান ১২ জন। সব মিলিয়ে রানা প্লাজা ধসে মৃতের সংখ্যা ১১২৭।
আজ বিকাল পর্যন্ত মাঠ ও হাসপাতাল থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৭৮১টি মৃতদেহ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর করা হয়েছে ৫৩টি মৃতদেহ। হস্তান্তরের অপেক্ষায় মর্গে মৃতদেহ আছে ৫৯টি। আজ অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কোনো মৃতদেহ ছিল না।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রানা প্লাজা নিহতদের আত্মার শান্তির ও আহতদের আরোগ্য কামনা করে সাভারে ধংসস্তূপ এলাকায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় উদ্ধার পরিচালনাকারী দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সমাপ্তির এ ঘোষণা শুনেই কান্নাকাটি শুরু করেন সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অপেক্ষমাণ স্বজনেরা । যাদের অনেকেই খুঁেজ পাননি তার প্রিয় স্বজনের লাশ।
দেশের শিল্পের সবচাইতে বড় বিপর্যয়কর ও প্রাণহানির এ ঘটনার অভিযান শেষ হল ২০ দিনে। কাল (মঙ্গলবার) ভোর ছয়টায় ধ্বংসস্তূপ এলাকার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছে।
সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তরের কর্নেল ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, রবিবার বিকালের পর থেকে জীবিত বা মৃত আর কাউকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আর কোনো মৃতদেহ নেই। তাই মঙ্গলবার ভোর ছয়টার মধ্যে ভবনটি জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্যমতে, ধসে পড়া ভবন থেকে জীবিত ও মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৩৫৫৩ জনকে। এর মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ১১১৫ টি। জীবিত উদ্ধারের পর হাসপাতালে মারা যান ১২ জন। সব মিলিয়ে রানা প্লাজা ধসে মৃতের সংখ্যা ১১২৭।
আজ বিকাল পর্যন্ত মাঠ ও হাসপাতাল থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৭৮১টি মৃতদেহ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর করা হয়েছে ৫৩টি মৃতদেহ। হস্তান্তরের অপেক্ষায় মর্গে মৃতদেহ আছে ৫৯টি। আজ অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কোনো মৃতদেহ ছিল না।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রানা প্লাজা নিহতদের আত্মার শান্তির ও আহতদের আরোগ্য কামনা করে সাভারে ধংসস্তূপ এলাকায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ আলেমে দ্বীন মাওলানা ইউসুফকে অবিলম্বে মুক্তি দিন --- সিলেট জামায়াত
সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার
শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই নিরপরাধ শীর্ষ জামায়াত
নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজানো রায় প্রদান করছে। দীর্ঘ দিন
রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত, অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ আলেমে দ্বীন জামায়াতের
কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা একেএম ইউসুফের মত একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে
গ্রেফতার করা সরকারের চরম মানবাধিকার বহির্ভূত কর্মকান্ড। অবিলম্বে তাকে সহ
জামায়াত নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি,
গণহত্যা ও দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতা ঢাকতেই জামায়াত নেতৃবৃন্দের
প্রতি জুলুম, অবিচার করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র
করছে। গণহত্যা, গণমামলা ও গণগ্রেফতার করে আওয়ামী ফ্যাসীবাদী সরকার
গণতন্ত্রকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। কথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের
বিচারের নামে বিরোধী নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র দেশবাসী সফল হতে
দেবে না। সরকারের গণতন্ত্র বিনাশী কর্মকান্ড রুখে দিতে জামায়াত আহুত আজ
মঙ্গলবারের দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি সিলেটেও শান্তিপূর্ণভাবে
সফল করুন।
সোমবার সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আবুল কালাম ইউসুফকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে, মুক্তির দাবীতে ও আজকের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে নগরীতে বিশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আজকের হরতালের সমর্থনে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক মিছিল বের করে মহানগর জামায়াত। নগরীর মদীনা মার্কেট, মেডিকেল রোড, সোবহানীঘাট, শিবগঞ্জ, শাহপরাণ গেইট ও দক্ষিণ সুরমা সহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত পৃথক পৃথক মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-মহানগর সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, জামায়াত নেতা মো: শাহজাহান আলী, মাওলানা আব্দুল মুকিত, আব্দুল্লাহ আল মুনিম, মু. আজিজুল ইসলাম, মু. আব্দুর রহিম, চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির ও মাহমুদুর রহমান দিলওয়ার প্রমুখ।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ আজকের সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে সিলেটে শান্তিপূর্ণ ও সর্বাত্মকভাবে সফল করতে পরিবহন মালিক, পরিবহন শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ সিলেটবাসীর প্রতি আহবান জানান। সরকারের সকল অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও অনুরোধ জানান তারা। নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে দেশে বাকশালের রাজত্ব কায়েম করতে উঠেপড়ে লেগেছে। গণতন্ত্র রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। বিচারের নামে অবিচার বন্ধ করে প্রহসনের ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা আবুল কালাম ইউসুফ সহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন।
সোমবার সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আবুল কালাম ইউসুফকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে, মুক্তির দাবীতে ও আজকের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে নগরীতে বিশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আজকের হরতালের সমর্থনে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক মিছিল বের করে মহানগর জামায়াত। নগরীর মদীনা মার্কেট, মেডিকেল রোড, সোবহানীঘাট, শিবগঞ্জ, শাহপরাণ গেইট ও দক্ষিণ সুরমা সহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত পৃথক পৃথক মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-মহানগর সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, জামায়াত নেতা মো: শাহজাহান আলী, মাওলানা আব্দুল মুকিত, আব্দুল্লাহ আল মুনিম, মু. আজিজুল ইসলাম, মু. আব্দুর রহিম, চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির ও মাহমুদুর রহমান দিলওয়ার প্রমুখ।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ আজকের সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে সিলেটে শান্তিপূর্ণ ও সর্বাত্মকভাবে সফল করতে পরিবহন মালিক, পরিবহন শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ সিলেটবাসীর প্রতি আহবান জানান। সরকারের সকল অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও অনুরোধ জানান তারা। নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে দেশে বাকশালের রাজত্ব কায়েম করতে উঠেপড়ে লেগেছে। গণতন্ত্র রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। বিচারের নামে অবিচার বন্ধ করে প্রহসনের ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা আবুল কালাম ইউসুফ সহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন।
ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে গ্রাহকদের এগিয়ে আসতে হবে ---সিলেট জোন প্রধান
সুদের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে বাঁচানোর
লক্ষ্যে এবং ব্যবসাকে হালাল পন্থায় পরিচালনা করার জন্য ইসলামী ব্যাংক
বাংলাদেশ লিঃ এর জন্ম উল্লেখ করে ইসলামী ব্যাংক সিলেট জোন প্রধান ইভিপি
আব্দুর রহমান বানার্জি বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে
গ্রাহকদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, এই ব্যাংক কোনো দল বা গোষ্ঠীর ব্যাংক
নয়। দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের ব্যাংক। ব্যাংকিং কার্যক্রমের
পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংক আর্ত মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচেছ। অপপ্রচার
চালিয়ে ইসলামী ব্যাংকের অগ্রযাত্রা অতিতেও কেউ রুখতে পারেনি ভবিষতেও পারবে
না ইনশাল্লাহ।
সোমবার ইসলামী ব্যাংক আম্বরখানা শাখার উদ্যোগে সার্বজনীন কল্যাণের ৩০ বছর উপলক্ষে শীর্ষক আলোচনা সভা ও গ্রাক-সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও ভিপি মো. শহীদ আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন এর ডিন ড. মো. নজরুল ইসলাম, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মাসুদ আহমদ চৌধুরী (মাকুম), ব্যাংকের প্রিন্সিপাল ও সেকেন্ড অফিসার মো. আকবর উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সুচিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের গ্রাহক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. জুলকারনাইন, বিশ্ববাংলা সম্পাদক মুহিত চৌধুরী, বিয়ানীবাজারের শেউলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন আহমদ খান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী আহমেদুল ইসলাম মাহবুব প্রমুখ।
সোমবার ইসলামী ব্যাংক আম্বরখানা শাখার উদ্যোগে সার্বজনীন কল্যাণের ৩০ বছর উপলক্ষে শীর্ষক আলোচনা সভা ও গ্রাক-সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও ভিপি মো. শহীদ আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন এর ডিন ড. মো. নজরুল ইসলাম, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মাসুদ আহমদ চৌধুরী (মাকুম), ব্যাংকের প্রিন্সিপাল ও সেকেন্ড অফিসার মো. আকবর উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সুচিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের গ্রাহক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. জুলকারনাইন, বিশ্ববাংলা সম্পাদক মুহিত চৌধুরী, বিয়ানীবাজারের শেউলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন আহমদ খান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী আহমেদুল ইসলাম মাহবুব প্রমুখ।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি’র একক প্রার্থী নির্বাচনে চলছে প্রচেষ্টা: ঢাকায় দৌড়-ঝাপ
ছাত্রলীগে বিরোধের জের ধরে শাবি বন্ধ ঘোষণা, সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ
শাবি শাখার ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দল ও ৬
ছাত্রলীগ নেতাকর্মী দুর্বৃত্তের হামলায় আহতের ঘটনায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে এনে ক্যাম্পাস বন্ধ
ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে ছাত্রদের হল ত্যাগের
নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি
সিন্ডিকেট সভায় এই সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. কবির
হোসেন এ সিদ্ধান্তের খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১৯ মে থেকে
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালিন ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্যাম্পাসের
চলমান অস্থিরতার কারণে ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার
মধ্যে ছাত্রদের হল ত্যাগে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর ১৫ তারিখ দুপুর
১২টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ২ জুন
বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কার্যক্রম চালু
থাকবে বলেও জানান অধ্যাপক কবির হোসেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে দীর্ঘ ১০ বছর পর শাবি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন শাবি ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক সামসুজ্জামান চৌধুরী সুমন। এর পর গত তিন দিনে আরো ৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে দীর্ঘ ১০ বছর পর শাবি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন শাবি ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক সামসুজ্জামান চৌধুরী সুমন। এর পর গত তিন দিনে আরো ৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করে প্রশাসন।
মঙ্গলবার জামায়াত হরতাল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ১৮ দলের হরতালের কর্মসুচী আসতে পারে
মঙ্গলবার আবারো হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। রবিবার হরতাল শেষে
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটির পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা
রফিকুল ইসলাম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির একেএম ইউসুফকে গ্রেফতার ও শিবির সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনকে রিমান্ডের প্রতিবাদে এ হরতাল ডেকেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হত্যা, সন্ত্রাস, গুলিবর্ষণ, গণগ্রেফতার উপেক্ষা করে আজ ১২ মে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল পালন করায় দেশবাসীকে দলটির পক্ষ থেকে মোবারকবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সোমবার দুপুরে ১৮ দল ঘোষিত রাজধানীর নয়া পল্টনের সমাবেশ সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রদত্ত মৃত্যুদ- প্রত্যাখ্যান করে জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত দেশব্যাপী স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করায় আমি দেশবাসীকে আন্তরিকভাবে মোবারকবাদ জানাচ্ছি। রবিবার হরতাল চলাকালে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ ১৪ দলের সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণ, সন্ত্রাস সৃষ্টি, গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, রবিবারের হরতালে সারাদেশে দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। আহত হয় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢাকার রামপুরায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আবুল আলা রিয়াদকে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী শাহাদাত হোসেনকে র্যাব গুলি করে হত্যা করেছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। অন্য সঙ্গীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠালেও হত্যার উদ্দেশ্যে শাহাদাতকে গ্রেফতারের কথা শিকার করেনি। রবিবার ভোরে শাহাদাতের লাশ রাজশাহীর বিনোদপুর রেডিও কলোনি মাঠে ফেলে দিয়ে বলা হচ্ছে র্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের সময় শাহাদাত নিহত হয়েছে। তাদের এসব বক্তব্য মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের জনগণ আজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে প্রমাণ করেছে যে, কামারুজ্জামানকে যে দ- প্রদান করা হয়েছে তা পক্ষপাতদুষ্ট ও একপেশে। দেশের জনগণের নিকট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ রায় গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণ বিশ্বাস করে যে, কামারুজ্জামানের মতো একজন সৎ, ধার্মিক, মেধাবী ও প্রজ্ঞাবান নেতাকে রাজনৈতিকভাবে হত্যা করে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এ রায় প্রদান করা হয়েছে। দেশের জনগণ তার মুক্তি চায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকার রবিবার জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা একেএম ইউসুফকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সরকার তার বিরুদ্ধে মানবতার অপরাধের মিথ্যা মামলা করে।
সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে একের পর এক জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে আটক করার অংশ হিসেবেই রবিবার জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমিরকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই জুলুম, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।
এদিকে সোমবারের সমাবেশ থেকে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতাল ডা্কতে পারে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। জোটের পক্ষ থেকে হরতালের ব্যাপারে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে্।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির একেএম ইউসুফকে গ্রেফতার ও শিবির সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনকে রিমান্ডের প্রতিবাদে এ হরতাল ডেকেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হত্যা, সন্ত্রাস, গুলিবর্ষণ, গণগ্রেফতার উপেক্ষা করে আজ ১২ মে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল পালন করায় দেশবাসীকে দলটির পক্ষ থেকে মোবারকবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সোমবার দুপুরে ১৮ দল ঘোষিত রাজধানীর নয়া পল্টনের সমাবেশ সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রদত্ত মৃত্যুদ- প্রত্যাখ্যান করে জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত দেশব্যাপী স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করায় আমি দেশবাসীকে আন্তরিকভাবে মোবারকবাদ জানাচ্ছি। রবিবার হরতাল চলাকালে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ ১৪ দলের সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণ, সন্ত্রাস সৃষ্টি, গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, রবিবারের হরতালে সারাদেশে দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। আহত হয় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢাকার রামপুরায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আবুল আলা রিয়াদকে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী শাহাদাত হোসেনকে র্যাব গুলি করে হত্যা করেছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। অন্য সঙ্গীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠালেও হত্যার উদ্দেশ্যে শাহাদাতকে গ্রেফতারের কথা শিকার করেনি। রবিবার ভোরে শাহাদাতের লাশ রাজশাহীর বিনোদপুর রেডিও কলোনি মাঠে ফেলে দিয়ে বলা হচ্ছে র্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের সময় শাহাদাত নিহত হয়েছে। তাদের এসব বক্তব্য মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের জনগণ আজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে প্রমাণ করেছে যে, কামারুজ্জামানকে যে দ- প্রদান করা হয়েছে তা পক্ষপাতদুষ্ট ও একপেশে। দেশের জনগণের নিকট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ রায় গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণ বিশ্বাস করে যে, কামারুজ্জামানের মতো একজন সৎ, ধার্মিক, মেধাবী ও প্রজ্ঞাবান নেতাকে রাজনৈতিকভাবে হত্যা করে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এ রায় প্রদান করা হয়েছে। দেশের জনগণ তার মুক্তি চায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকার রবিবার জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা একেএম ইউসুফকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সরকার তার বিরুদ্ধে মানবতার অপরাধের মিথ্যা মামলা করে।
সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে একের পর এক জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে আটক করার অংশ হিসেবেই রবিবার জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমিরকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই জুলুম, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।
এদিকে সোমবারের সমাবেশ থেকে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতাল ডা্কতে পারে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। জোটের পক্ষ থেকে হরতালের ব্যাপারে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে্।
মেয়র পদে ৭, পুরুষ কাউন্সিলর ১৫২ নারী ৩৬ কাউন্সিলরের মনোনয়নপত্র দাখিল
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা উৎসব মূখর
পরিবেশে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রবিবার সকাল ১০টা
থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
প্রার্থীদের ভিড় সামলাতে ৪টি বুথে জমা নেয়া হয় মনোনয়নপত্র।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১ জন আওয়ামী লীগের ৪ জন বিএনপির, ১ জন জামায়াতের ও এক প্রার্থী স্বতন্ত্র। মেয়র প্রার্থীরা হলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ূম জালালী পংকী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সামুসজ্জামান জামান, মহানগর জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন লিমন।
এছাড়া সাধারণ ২৭টি ওয়ার্ডে (পুরুষ) ১৫২ জন ও সংরতি ৯টি ওয়ার্ডে (নারী) ৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সংরতি ৬নং ওয়ার্ডে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের বর্তমান প্যানেল মেয়র শাহানারা বেগম।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ২নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ৯নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ১০ নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ১১নং ওয়ার্ডে ১২ জন, ১২নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ১৩নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ১৪নং ওয়ার্ডে ৮জন, ১৫নং ওয়ার্ডে ২ জন, ১৬নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ১৭নং ওয়ার্ডে ৪জন, ১৮নং ওয়ার্ডে ৮জন, ১৯ নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ২০নং ওয়ার্ডে ২ জন, ২১নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ২২নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ২৩নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ২৪নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ২৫নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ২৬নং ওয়ার্ডে ৮ জন ও ২৭ নং ওয়ার্ডে ৪জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এছাড়া সংরতি ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড) ২ জন, ২নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড) ৫জন, ৩নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) ৫ জন, ৪নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ১০, ১১ ও ১২নং ওয়ার্ড) ৭জন, ৫নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড) ৪জন, ৬নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ১৬, ১৭ ও ১৮নং ওয়ার্ড) একমাত্র প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর শাহানারা বেগম, ৭নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ১৯, ২০ ও ২১নং ওয়ার্ড) ৫জন, ৮নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ড) ২জন, ৯নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড) ৫ জন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য বিদায়ী মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পুণরায় মেয়র নির্বাচিত হলে নগরীর অসম্পূর্ণ উন্নয়ন সম্পূর্ণ করার প্রতিশ্র“তি দেন। তিনি বলেন, নগরীর যানজট, জলাবদ্ধতা ও খাবার পানি সংকটের যে সমস্যা রয়েছে পুণরায় মেয়র নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করব।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমাদানের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সিলেটে যে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে তার সাথে তার শ্রম জড়িয়ে আছে। নির্বাচিত হলে সিলেটকে একটি পরিকল্পিত নগরীতে পরিণত করার আশ্বাস দেন তিনি।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১ জন আওয়ামী লীগের ৪ জন বিএনপির, ১ জন জামায়াতের ও এক প্রার্থী স্বতন্ত্র। মেয়র প্রার্থীরা হলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ূম জালালী পংকী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সামুসজ্জামান জামান, মহানগর জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন লিমন।
এছাড়া সাধারণ ২৭টি ওয়ার্ডে (পুরুষ) ১৫২ জন ও সংরতি ৯টি ওয়ার্ডে (নারী) ৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সংরতি ৬নং ওয়ার্ডে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের বর্তমান প্যানেল মেয়র শাহানারা বেগম।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ২নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ৯নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ১০ নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ১১নং ওয়ার্ডে ১২ জন, ১২নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ১৩নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ১৪নং ওয়ার্ডে ৮জন, ১৫নং ওয়ার্ডে ২ জন, ১৬নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ১৭নং ওয়ার্ডে ৪জন, ১৮নং ওয়ার্ডে ৮জন, ১৯ নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ২০নং ওয়ার্ডে ২ জন, ২১নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ২২নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ২৩নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ২৪নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ২৫নং ওয়ার্ডে ৮ জন, ২৬নং ওয়ার্ডে ৮ জন ও ২৭ নং ওয়ার্ডে ৪জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এছাড়া সংরতি ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড) ২ জন, ২নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড) ৫জন, ৩নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) ৫ জন, ৪নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ১০, ১১ ও ১২নং ওয়ার্ড) ৭জন, ৫নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড) ৪জন, ৬নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ১৬, ১৭ ও ১৮নং ওয়ার্ড) একমাত্র প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর শাহানারা বেগম, ৭নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ১৯, ২০ ও ২১নং ওয়ার্ড) ৫জন, ৮নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ড) ২জন, ৯নং ওয়ার্ডে (সাধারণ ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ড) ৫ জন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য বিদায়ী মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পুণরায় মেয়র নির্বাচিত হলে নগরীর অসম্পূর্ণ উন্নয়ন সম্পূর্ণ করার প্রতিশ্র“তি দেন। তিনি বলেন, নগরীর যানজট, জলাবদ্ধতা ও খাবার পানি সংকটের যে সমস্যা রয়েছে পুণরায় মেয়র নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করব।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমাদানের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সিলেটে যে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে তার সাথে তার শ্রম জড়িয়ে আছে। নির্বাচিত হলে সিলেটকে একটি পরিকল্পিত নগরীতে পরিণত করার আশ্বাস দেন তিনি।
ব্রিটিশ ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে
নিউজডেস্ক:
ব্রিটিশ হাইকমিশন ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া আরো একধাপ এগিয়ে গেল। রবিবার সকল ইউকে ভিসা আবেদন অনলাইনে করার ঘোষনা দেয়ার মধ্যদিয়ে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়নে আরো একটি মাত্রা যুক্ত হয়। আগামী ১৯ মে থেকে ডিপেন্ডেন্টসহ সকল পয়েন্টস বেজড সিস্টেম (পিবিএস) আবেদন এবং আগামী ২ জুন থেকে অন্যান্য আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পাদিত হবে। নির্ধারিত সময়ের পর হাতে পূরণকৃত আর কোন আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে রবিবার ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিসা আবেদনের জন্য www.visa4uk.fco.gov.uk ঠিকানায় ভিজিট করো নিয়মাবলী অনুসরণপূর্বক অনলাইনে আবেদন জমা দিতে হবে। নিয়মাবলী বাংলা এবং ইংরেজী দুই ভাষাতেই দেয়া আছে। এতে সুবিধা হচ্ছে, আবেদনকারীকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে কম সময় ব্যয় করতে হবে। কেননা সেখানে পৌঁছানোর আগেই আবেদনের সব তথ্য গৃহীত ও নথিবদ্ধ হবে। এ প্রক্রিয়ায় অনলাইন আবেদনপত্র পূরণে স্বজনরাও সহায়তা করতে পারবেন।
আবেদনকারী পূরণকৃত ও অনলাইনে প্রেরিত আবেদনপত্রের একটি প্রিন্ট কপি ও আনুসঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে ঢাকা অথবা সিলেটে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যেতে হবে। প্রিমিয়াম সার্ভিসের সেবা গ্রহীতা না হলে আগাম কোন অ্যাপয়নমেন্টের প্রয়োজন হবে না।
আগের মতোই আবেদন কেন্দ্র আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক বিবরণী (আঙ্গুলের ছাপ ও ডিজিটাল ছবি) সংগ্রহ করবে। আবেদনকারী কেন্দ্রে এসে তাঁর আবেদন ফি জমা দেবেন অথবা ব্র্যাক ব্যাংকের পূর্বনির্ধারিত শাখায় অর্থ জমা দেবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থ প্রদানের প্রমাণপত্র আবেদন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
যাদের ইন্টারনেট ও প্রিন্টারযুক্ত কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা নেই তারা যৎসামান্য অর্থের বিনিময়ে আগে থেকে যোগাযোগ করে ভিএফএস গ্লোবাল (যুক্তরাজ্যের ব্যবসা পার্টনার) এর আবেদন কেন্দ্রের কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন। পুনরায় উপস্থিত না হয়ে, একইসময় তারা আবেদনপত্র ও আনুসঙ্গি কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে ভিজিট করা এবং আবেদন জমা দেয়ার পূর্ণাঙ্গ নিয়মাবলী প্রদর্শন করা হবে। ভিএফএস’র আইটি সিস্টেম ব্যবহারের জন্য যোগাযোগ করতে হবে নিচের ঠিকানায়;
ঢাকা: dhakakiosk@vfshelpline.com ফোন +৮৮০২ ৯৮৮৫১৩২
সিলেট:sylhetkiosk@vfshelpline.com ফোন +৮৮০৮২১ ৭১৭৫৭০
আইটি সেবা গ্রহণের জন্য প্রথম ৩০ মিনিটে ১৬০ টাকা এবং পরের প্রতি ১৫ মিনিটের জন্য ৮০ টাকা প্রদান করতে হবে। প্রতি পৃষ্ঠার প্রিন্ট কপি পেতে আরো ৩০ টাকা করে দিতে হবে।
প্রিমিয়াম লাউঞ্জ, ফার্স্ট ট্র্যাক এবং প্রাইম টাইম সেবা গ্রহীতারা ইচ্ছা করলে অ্যাপয়নমেন্ট নিয়ে আবেদন জমা দিতে পারবেন। এসব সেবার ক্ষেত্রে আরো তথ্য পাওয়া যাবে www.vfs-uk-bd.com ঠিকানায়।
ব্রিটিশ হাইকমিশন ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া আরো একধাপ এগিয়ে গেল। রবিবার সকল ইউকে ভিসা আবেদন অনলাইনে করার ঘোষনা দেয়ার মধ্যদিয়ে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়নে আরো একটি মাত্রা যুক্ত হয়। আগামী ১৯ মে থেকে ডিপেন্ডেন্টসহ সকল পয়েন্টস বেজড সিস্টেম (পিবিএস) আবেদন এবং আগামী ২ জুন থেকে অন্যান্য আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পাদিত হবে। নির্ধারিত সময়ের পর হাতে পূরণকৃত আর কোন আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে রবিবার ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিসা আবেদনের জন্য www.visa4uk.fco.gov.uk ঠিকানায় ভিজিট করো নিয়মাবলী অনুসরণপূর্বক অনলাইনে আবেদন জমা দিতে হবে। নিয়মাবলী বাংলা এবং ইংরেজী দুই ভাষাতেই দেয়া আছে। এতে সুবিধা হচ্ছে, আবেদনকারীকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে কম সময় ব্যয় করতে হবে। কেননা সেখানে পৌঁছানোর আগেই আবেদনের সব তথ্য গৃহীত ও নথিবদ্ধ হবে। এ প্রক্রিয়ায় অনলাইন আবেদনপত্র পূরণে স্বজনরাও সহায়তা করতে পারবেন।
আবেদনকারী পূরণকৃত ও অনলাইনে প্রেরিত আবেদনপত্রের একটি প্রিন্ট কপি ও আনুসঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে ঢাকা অথবা সিলেটে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যেতে হবে। প্রিমিয়াম সার্ভিসের সেবা গ্রহীতা না হলে আগাম কোন অ্যাপয়নমেন্টের প্রয়োজন হবে না।
আগের মতোই আবেদন কেন্দ্র আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক বিবরণী (আঙ্গুলের ছাপ ও ডিজিটাল ছবি) সংগ্রহ করবে। আবেদনকারী কেন্দ্রে এসে তাঁর আবেদন ফি জমা দেবেন অথবা ব্র্যাক ব্যাংকের পূর্বনির্ধারিত শাখায় অর্থ জমা দেবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থ প্রদানের প্রমাণপত্র আবেদন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
যাদের ইন্টারনেট ও প্রিন্টারযুক্ত কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা নেই তারা যৎসামান্য অর্থের বিনিময়ে আগে থেকে যোগাযোগ করে ভিএফএস গ্লোবাল (যুক্তরাজ্যের ব্যবসা পার্টনার) এর আবেদন কেন্দ্রের কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন। পুনরায় উপস্থিত না হয়ে, একইসময় তারা আবেদনপত্র ও আনুসঙ্গি কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে ভিজিট করা এবং আবেদন জমা দেয়ার পূর্ণাঙ্গ নিয়মাবলী প্রদর্শন করা হবে। ভিএফএস’র আইটি সিস্টেম ব্যবহারের জন্য যোগাযোগ করতে হবে নিচের ঠিকানায়;
ঢাকা: dhakakiosk@vfshelpline.com ফোন +৮৮০২ ৯৮৮৫১৩২
সিলেট:sylhetkiosk@vfshelpline.com ফোন +৮৮০৮২১ ৭১৭৫৭০
আইটি সেবা গ্রহণের জন্য প্রথম ৩০ মিনিটে ১৬০ টাকা এবং পরের প্রতি ১৫ মিনিটের জন্য ৮০ টাকা প্রদান করতে হবে। প্রতি পৃষ্ঠার প্রিন্ট কপি পেতে আরো ৩০ টাকা করে দিতে হবে।
প্রিমিয়াম লাউঞ্জ, ফার্স্ট ট্র্যাক এবং প্রাইম টাইম সেবা গ্রহীতারা ইচ্ছা করলে অ্যাপয়নমেন্ট নিয়ে আবেদন জমা দিতে পারবেন। এসব সেবার ক্ষেত্রে আরো তথ্য পাওয়া যাবে www.vfs-uk-bd.com ঠিকানায়।
নবীগঞ্জে আদিপত্য বিস্তার নিয়ে ফের সংঘর্ষ: ৩ জনের লাশ উদ্ধার, ১৫ জন গ্রেফতার
এম, এ আহমদ আজাদ,নবীগঞ্জ থেকেঃ
নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে আদিপত্য বিস্তার নিয়ে পুর্ব বিরুধের জের ধরে রবিবার সকাল বেলায় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত তিন জনের ক্ষতবিক্ষত লাশ পুলিশ কুশিয়ারা থেকে উদ্ধার করেছে এবং আরো দুইজন নিখোঁজ রয়েছে একটি পক্ষ দাবি করছে। শুক্রবার সকালে সংঘর্ষ চলাকালে সাবেক চেয়ারম্যান লিপাই উল্লা গ্র“পের লোকজন দৌড়ে প্রান ভয়ে পার্শ্ববতী কুশিয়ারা নদীতে পরে প্রান রক্ষার জন্য সাতার দিলে প্রতিপক্ষের লোক জন নৌকা দিয়ে তাদের উপর আক্রমন করে। এসময় প্রায় ৫০ জন আহত হয়। ৫ জন নিখোঁজ হয় এদের সন্ধান পেতে পুলিশ ও তাদের আত্বীয় স্বজন বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। গতকাল সকালে কসবা গ্রামের পার্শ্বে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের নর্থ প্যাডের পার্শ্বে কুশিয়ারা নদীতে তিনটি লাশ ভেসে উঠলে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তিনটি লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করে। প্রতিপক্ষ ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম হোসেনের লোক এই জন্য পুলিশের সামনেই তিনজন কে নদীতে ফেলে কুপিয়ে হত্যা করে বীর দর্পে চলে যায়। সংঘর্ষে নিহত তিনজন হলো কসবা গ্রামের মুজির উদ্দিনের পুত্র জাকির উদ্দিন (২৭) ও রহমত আলীর পুত্র আব্দুল বাছিত (৪০) ও গ্রামে আসা অতিথি পার্শ্ববতী দাওরাই গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র সেবুল মিয়া (২৫)। লাশ উদ্ধারে পরে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে শুরূ হয় আবারো সংঘর্ষ। এসময় নবীগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ লাটি চার্জ ও ফাকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এসময় সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন আহত হয়। দাঙ্গাহাঙ্গামা রোধে গ্রামে প্রচুর দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেফতার আতংকে গ্রাম এখন পুরুষ শুণ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিপক্ষ ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম হোসেনের লোকজন প্রভাব শালী হওয়াতে এখনো গ্রামে থেকে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে আদিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রাক্তন চেয়ারম্যান লিপাই উল¬াহ্ গ্রোত্রের সাথে একই গ্রামের ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম হোসেন এর মধ্যে দীর্ঘ ২ যুগ ধরে বিরুধ চলে আসছে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুটি গ্র“পের লোকজনের সংঘর্ষে হতাহতের সংঘটিত হয়। এবারো এর জের ধরে বিভিন্ন সময়ে হামলা পাল্টা হামলা, বাড়ী ঘরে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট বহু নারীর ইজ্জত হানীসহ সর্বশেষ গতমাসে একটি হত্যা কান্ডের ঘটনা সংগঠিত হয়। এ বিরুধের জের ধরে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান লিপাই উল্লা গ্র“পের প্রায় শতাধিক পরিবার গ্রাম ছাড়া হয়। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা পাল্টা মামলা চলে আসছিল। পরবর্তীতে এ ঘটনার সমাধার জন্য হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসনের উদ্যেগে গত মার্চ মাসে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ্উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করে বিষয়টি সমাধা করে দেয়া হয়। কিন্তু সমাধা হলে ও এর রেশ থেকে যায় উভয়ের গ্র“পের মধ্যে। এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সকাল বেলায় লিপাই উল¬াহ গংদের পক্ষ থেকে বেশকিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে পঞ্জায়েত পক্ষের লোকদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠে। এনিয়ে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয় সংঘর্ষ চলাকালে সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্র শ্বস্ত্র নিয়ে হামলাকারীদের উপর পাল্টা আক্রমন করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১০ রাউন্ড ফাকা গুলি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে হবিগঞ্জ জেলার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার রহমত আলী, সহকারী পুলিশ সুপার উত্তর সার্কেল নাজমুল ইসলাম, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম একদল দাঙ্গা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ১৫ জন দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করে।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন ফাঁকা গুলি ও লাটি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়। গ্রামের উত্তেজনা বিরাজ করছে দাঙ্গারোধে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার কামরুল আমীন বলেন কসবা ঘটনা আমাদের হতবাক করেছে। এটারোধ করতে স্থানীয়দের এগিয়ে আসতে হবে।সবার সম্মিলিত চেষ্টা ছাড়া এসহিংসতারোধ করা সম্ভব নয়।এবং গ্রামে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশে অভিযান চলছে।
নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে আদিপত্য বিস্তার নিয়ে পুর্ব বিরুধের জের ধরে রবিবার সকাল বেলায় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত তিন জনের ক্ষতবিক্ষত লাশ পুলিশ কুশিয়ারা থেকে উদ্ধার করেছে এবং আরো দুইজন নিখোঁজ রয়েছে একটি পক্ষ দাবি করছে। শুক্রবার সকালে সংঘর্ষ চলাকালে সাবেক চেয়ারম্যান লিপাই উল্লা গ্র“পের লোকজন দৌড়ে প্রান ভয়ে পার্শ্ববতী কুশিয়ারা নদীতে পরে প্রান রক্ষার জন্য সাতার দিলে প্রতিপক্ষের লোক জন নৌকা দিয়ে তাদের উপর আক্রমন করে। এসময় প্রায় ৫০ জন আহত হয়। ৫ জন নিখোঁজ হয় এদের সন্ধান পেতে পুলিশ ও তাদের আত্বীয় স্বজন বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। গতকাল সকালে কসবা গ্রামের পার্শ্বে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের নর্থ প্যাডের পার্শ্বে কুশিয়ারা নদীতে তিনটি লাশ ভেসে উঠলে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তিনটি লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করে। প্রতিপক্ষ ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম হোসেনের লোক এই জন্য পুলিশের সামনেই তিনজন কে নদীতে ফেলে কুপিয়ে হত্যা করে বীর দর্পে চলে যায়। সংঘর্ষে নিহত তিনজন হলো কসবা গ্রামের মুজির উদ্দিনের পুত্র জাকির উদ্দিন (২৭) ও রহমত আলীর পুত্র আব্দুল বাছিত (৪০) ও গ্রামে আসা অতিথি পার্শ্ববতী দাওরাই গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র সেবুল মিয়া (২৫)। লাশ উদ্ধারে পরে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে শুরূ হয় আবারো সংঘর্ষ। এসময় নবীগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ লাটি চার্জ ও ফাকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এসময় সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন আহত হয়। দাঙ্গাহাঙ্গামা রোধে গ্রামে প্রচুর দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেফতার আতংকে গ্রাম এখন পুরুষ শুণ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিপক্ষ ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম হোসেনের লোকজন প্রভাব শালী হওয়াতে এখনো গ্রামে থেকে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে আদিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রাক্তন চেয়ারম্যান লিপাই উল¬াহ্ গ্রোত্রের সাথে একই গ্রামের ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম হোসেন এর মধ্যে দীর্ঘ ২ যুগ ধরে বিরুধ চলে আসছে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুটি গ্র“পের লোকজনের সংঘর্ষে হতাহতের সংঘটিত হয়। এবারো এর জের ধরে বিভিন্ন সময়ে হামলা পাল্টা হামলা, বাড়ী ঘরে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট বহু নারীর ইজ্জত হানীসহ সর্বশেষ গতমাসে একটি হত্যা কান্ডের ঘটনা সংগঠিত হয়। এ বিরুধের জের ধরে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান লিপাই উল্লা গ্র“পের প্রায় শতাধিক পরিবার গ্রাম ছাড়া হয়। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা পাল্টা মামলা চলে আসছিল। পরবর্তীতে এ ঘটনার সমাধার জন্য হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসনের উদ্যেগে গত মার্চ মাসে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ্উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করে বিষয়টি সমাধা করে দেয়া হয়। কিন্তু সমাধা হলে ও এর রেশ থেকে যায় উভয়ের গ্র“পের মধ্যে। এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সকাল বেলায় লিপাই উল¬াহ গংদের পক্ষ থেকে বেশকিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে পঞ্জায়েত পক্ষের লোকদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠে। এনিয়ে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয় সংঘর্ষ চলাকালে সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্র শ্বস্ত্র নিয়ে হামলাকারীদের উপর পাল্টা আক্রমন করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১০ রাউন্ড ফাকা গুলি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে হবিগঞ্জ জেলার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার রহমত আলী, সহকারী পুলিশ সুপার উত্তর সার্কেল নাজমুল ইসলাম, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম একদল দাঙ্গা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ১৫ জন দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করে।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন ফাঁকা গুলি ও লাটি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়। গ্রামের উত্তেজনা বিরাজ করছে দাঙ্গারোধে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার কামরুল আমীন বলেন কসবা ঘটনা আমাদের হতবাক করেছে। এটারোধ করতে স্থানীয়দের এগিয়ে আসতে হবে।সবার সম্মিলিত চেষ্টা ছাড়া এসহিংসতারোধ করা সম্ভব নয়।এবং গ্রামে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশে অভিযান চলছে।
সিলেটে যুবলীগের হরতাল বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত
সিলেটে যুবলীগের হরতাল বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোবাবার
জমায়াতের হরতাল চলাকালে যুবলীগ নেতা ফয়সল আজাদ খানের নেতৃত্বে নগরীতে
জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্য ও হরতালের বিরুদ্ধে যুবলীগ এক মিছিল বের
করে।মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের
মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
সাবেক ছাত্রনেতা জাকির আহমদের ইন্তেকাল
নগরীর আম্বরখানা স্বাদ শো রুমের সত্বাধিকারী ও সাবেক ছাত্রনেতা
জাকির আহমদ রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল
করেছেন(ইন্না—রাজিউন)। বাদ মাগরিব দরগাহে হযরত শাহজালাল(র.) দরগাহ
প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন জাকির হোসেন। সাথে সাথে তাকে নগরীর একটি ক্লিনিকে নেয়ার পর সেখানই তার মৃত্যু হয়।
জাকির আহমদ নগরীর আম্বরখানার বাসিন্দা মুছায়্যির আহমদের(আমিন সাব) ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, ভাই-বোনসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জাকির হোসেন ছিলেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের তুখোড় ছাত্রনেতা। পরে তিনি আমেরিকায় চলে যান। কয়েক বছর আমেরিকায় অবস্থানের পর তিনি দেশে চলে আসেন। দেশে এসে তিনি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। শহরতলীর সাহেববাজার এলাকায় তার একটি বিশাল খামার রয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন জাকির হোসেন। সাথে সাথে তাকে নগরীর একটি ক্লিনিকে নেয়ার পর সেখানই তার মৃত্যু হয়।
জাকির আহমদ নগরীর আম্বরখানার বাসিন্দা মুছায়্যির আহমদের(আমিন সাব) ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, ভাই-বোনসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জাকির হোসেন ছিলেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের তুখোড় ছাত্রনেতা। পরে তিনি আমেরিকায় চলে যান। কয়েক বছর আমেরিকায় অবস্থানের পর তিনি দেশে চলে আসেন। দেশে এসে তিনি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। শহরতলীর সাহেববাজার এলাকায় তার একটি বিশাল খামার রয়েছে।
রাজশাহীতে র্যাবের ক্রসফায়ারে শিবির নেতা নিহত
নিউজডেস্ক:
জেলার বিনোদপুর এলাকায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শাহাদত হোসেন (২৫) নামে এক শিবিরকর্মী নিহত হয়েছেন। রাজশাহী কলেজের ছাত্র শাহাদত নগরীর কাজলা এলাকার মোহাম্মাদ মানু আলীর ছেলে।
রবিবার ভোর ৪টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বিনোদপুরে শিবিরের গোপন বৈঠকে হানা দেয় র্যাব। র্যাব জানায়, এ সময় শিবিরকর্মীরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই শিবিরকর্মী শাহাদত মারা যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, গুলি, ৬টি হাতবোমা ও ৩ বোতাল পেট্রল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জেলার বিনোদপুর এলাকায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শাহাদত হোসেন (২৫) নামে এক শিবিরকর্মী নিহত হয়েছেন। রাজশাহী কলেজের ছাত্র শাহাদত নগরীর কাজলা এলাকার মোহাম্মাদ মানু আলীর ছেলে।
রবিবার ভোর ৪টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বিনোদপুরে শিবিরের গোপন বৈঠকে হানা দেয় র্যাব। র্যাব জানায়, এ সময় শিবিরকর্মীরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই শিবিরকর্মী শাহাদত মারা যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, গুলি, ৬টি হাতবোমা ও ৩ বোতাল পেট্রল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সিলেটে জামায়াতের হরতাল পালিত হচ্ছে
বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সিলেটে জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হচ্ছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী জেনারেল মো: কামরুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে জামায়াত রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে।
ভোর ৬টা থেকে নগরীর পাঠানটুলা,শাহী ঈদগাহ,মিরাবাজার,শাহপরাদক্ষিণ সুরমা সহ বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে জামায়াত- শিবির ।এসময় ১টি ট্রাক ও ১টি সিএনজি ভাংচুর হয়। টিলাগড়-আম্বরখানা-বিমানন্দর সড়কও তারা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে ৪-৫ টি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
সকাল থেকে নগরীতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করলেও ভারী যানবাহন চলছেনা। হরতালে সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি দুরপাল্লার কোন বাস। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী জেনারেল মো: কামরুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে জামায়াত রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে।
ভোর ৬টা থেকে নগরীর পাঠানটুলা,শাহী ঈদগাহ,মিরাবাজার,শাহপরাদক্ষিণ সুরমা সহ বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে জামায়াত- শিবির ।এসময় ১টি ট্রাক ও ১টি সিএনজি ভাংচুর হয়। টিলাগড়-আম্বরখানা-বিমানন্দর সড়কও তারা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে ৪-৫ টি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
সকাল থেকে নগরীতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করলেও ভারী যানবাহন চলছেনা। হরতালে সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি দুরপাল্লার কোন বাস। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’
নিউজডেস্ক:
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ এ পরিণত হয়েছে। যা উপকূলের দিকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’-এ রূপান্তরিত হয়েছে। এটি উপকূলের দিকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে। যা আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপটি শনিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ এ পরিণত হয়েছে। যা উপকূলের দিকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’-এ রূপান্তরিত হয়েছে। এটি উপকূলের দিকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে। যা আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপটি শনিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অবিলম্বে নাস্তিক মুরতাদদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে--- তালামীয
বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট পূর্ব ও পশ্চিম জেলা
শাখার উদ্যোগে আয়োজিত “চেতনায় বালাকোট” সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, সায়্যিদ
আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) আমাদের জন্য এক বিশেষ নিয়ামত। আধ্যাত্মিক শক্তি ও
উন্নত চারিত্রিক গুণাবলীতে বিভূষিত হয়ে প্রকৃত ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠায়
তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর ত্যাগ ও কুরবানী আমাদের প্রেরণার উৎস।
তাঁর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের ইসলামী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে
হবে। বক্তারা বলেন, দেশ বর্তমানে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের
রাজনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত ঘোলাটে। নির্লজ্জ মিথ্যাচার আর বেহায়পনা রাজনীতির
অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটছে। আলেম-উলামা ও
ইসলামপ্রিয় জনতা আজ নির্যাতিত, নিপীড়িত। এমতাবস্থায় দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা
আনয়নে সরকারকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের
নির্যাতন-নিপীড়ন, শোষণ ও অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদে সংগ্রাম করে যেদেশ
স্বাধীন হয়েছে সেদেশের মানুষ কোনো অন্যায়-অবিচার কখনো বরদাশত করবে না। তারা
বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ দিনের পর দিন টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করা হয়। অন্যদিকে
আলেম-উলামাদের নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন করা হয়। এটা কিসের লক্ষণ? তারা
বলেন, দেশের বর্তমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির জন্য তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চই
দায়ী। এরা সমাজে বিদ্বেষের বিষবাষ্প ছড়িয়েছে। তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু
ব্লগার ইসলাম ও প্রিয়নবি (সা.) এর অবমাননা করে ধর্মপ্রাণ জনতাকে বিক্ষুব্দ
করেছে। নাস্তিক ব্লগারদের অনেককে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে
তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। ইসলামকে নিয়ে যাতে কেউ কটাক্ষ
করতে না পারে সেজন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে।
শনিবার সিলেট অডিটোরিয়ামে হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর সুযোগ্য উত্তরসূরি, আনজুমানে আল ইসলাহর স্থায়ী কমিটির সদস্য আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দীন চৌধুরীর উদ্বোধনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আনজুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি নজীর আহমদ হেলাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নজমুল হুদা খান, মোঃ আজির উদ্দিন পাশা, মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ।
মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, নাস্তিক মুরতাদরা ইসলামের বিরুদ্ধে আজ জিহাদ ঘোষণা করেছে। তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ এবং দেশপ্রেমের শ্লোগানধারী অতি উৎসাহী বুদ্ধিজীবী নামের পরজীবিদের কারণে দেশপ্রেম আজ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি কলকাতামুখী দেশপ্রেম আর অন্যটি সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম জনতার দেশপ্রেম। যে কোনো বিবেচনায় একজন প্রকৃত মুসলমানের দেশপ্রেমই যথাযথ দেশপ্রেম। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের সিংহভাগই মুসলমান। সুতরাং এ দেশে মুসলমানের বিপক্ষে অবস্থান নিলে তার পরিণাম শুভ হবে না। তিনি বলেন, কোন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। আল্লামা আহমদ শফীর শান্তিপূর্ণ লংমার্চে আমরা সমর্থন জানিয়েছি। পরবর্তীতে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচী থেকে কিছু মহল রাজনৈতিক ফায়দা লাভের চেষ্টা করেছে। ৫মের অবরোধের দিন যারা নাশকতা করেছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। নির্বিচারে আলেম-উলামাদের দায়ী করা উচিত হবে না। তিনি এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতার প্রাণের দাবী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে বলেন, আরবী বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন নিয়ে কোন কালক্ষেপন করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। অবিলম্বে আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম জনতার দাবী পূরণ করুন।
আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন নিয়ে বহুমুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নাস্তিক-মুরতাদরা বিশ্বনবি (সা.)-এর মান-মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করতে সর্বদা লিপ্ত। এদেশের আউলিয়ায়ে কেরামের উত্তরসূরীরা এদের দাতভাঙ্গা জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, যারা আহলে সুন্নতের নাম ভাঙ্গিয়ে নাস্তিকদের পক্ষাবলম্বন করছে, এদেরই পূর্বসূরীরা সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরলভী (রহ.) এর সময় বৃটিশ ও শিখদের পক্ষাবলম্বন করে সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরলভীসহ অসংখ্য মুসলমানদের বালাকোট ময়দানে শহীদ করেছে। তাদের এ অপতৎপরতা বরদাশত করা যায় না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে তালামীযে ইসলামিয়ার সভাপতি নজীর আহমদ হেলাল বলেন, তালামীযে ইসলামিয়া ইসলামের প্রকৃত আকীদা প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত একটি আদর্শ ছাত্র কাফেলা। এ সংগঠনের প্রত্যেক কর্মী দ্বীনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, দেশে করুণ অবস্থা বিরাজ করছে তার থেকে দ্রুত উত্তরণ প্রয়োজন। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান, আলেম-উলামার ইজ্জত রক্ষা ও অবিলম্বে নাস্তিক-ব্লগারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় এর ফল শুভ হবে না।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার নাস্তিক-মুরতাদদের পক্ষ নিয়েছে। অবিলম্বে নাস্তিক-ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে। অন্যথায় আগামী দিনে এর জন্য সরকারকে কঠিন মূল্য দিতে হবে।
পৃথক পৃথক অধিবেশনে সিলেট পূর্ব জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ আহমদ আল জামিল ও পশ্চিম জেলা সভাপতি আখতার হোসাইন জাহেদের সভাপতিত্বে এবং সিলেট পশ্চিম জেলা সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ ও পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মোঃ শরীফ উদ্দিন, অফিস সম্পাদক মুজতবা হাসান চৌধুরী গিলমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ফজলুল হক খান শাহেদ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহিদ আহমদ, কেন্দ্রীয় সদস্য শফিকুল আলম, সিলেট মহানগর সভাপতি মুহিবুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ওলিউর রহমান সানী, হবিগন্জ জেলা সভাপতি মোঃ আফতাব উদ্দিন, সুনামগন্জ জেলা সভাপতি আবুল ফজল মোঃ তোহা, শাবি সভাপতি দুলাল আহমদ, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাছুম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী।
সকাল ১০টা থেকে নন্দিত ক্বারী সাইদুল ইসলাম আসাদের কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সুচিত ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাবি সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ রাজু, সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সুমন, মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, আব্দুল মুহিত রাসেল, মাওলানা খছরুজ্জামান, তৌরিছ আলী, মামুন আহমদ, আহসান মাহমুদ শিপন, আব্দুল করিম, জাবেদুল হক জাবেদ, কামাল আহমদ, আমীর হুসেন, রাসেল আহমদ, আব্দুস সামাদ, সুরমান আহমদ, আব্দুল হাছির, জিয়াউল ইসলাম প্রমুখ।
শনিবার সিলেট অডিটোরিয়ামে হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর সুযোগ্য উত্তরসূরি, আনজুমানে আল ইসলাহর স্থায়ী কমিটির সদস্য আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দীন চৌধুরীর উদ্বোধনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আনজুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি নজীর আহমদ হেলাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নজমুল হুদা খান, মোঃ আজির উদ্দিন পাশা, মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ।
মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, নাস্তিক মুরতাদরা ইসলামের বিরুদ্ধে আজ জিহাদ ঘোষণা করেছে। তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ এবং দেশপ্রেমের শ্লোগানধারী অতি উৎসাহী বুদ্ধিজীবী নামের পরজীবিদের কারণে দেশপ্রেম আজ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি কলকাতামুখী দেশপ্রেম আর অন্যটি সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম জনতার দেশপ্রেম। যে কোনো বিবেচনায় একজন প্রকৃত মুসলমানের দেশপ্রেমই যথাযথ দেশপ্রেম। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের সিংহভাগই মুসলমান। সুতরাং এ দেশে মুসলমানের বিপক্ষে অবস্থান নিলে তার পরিণাম শুভ হবে না। তিনি বলেন, কোন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। আল্লামা আহমদ শফীর শান্তিপূর্ণ লংমার্চে আমরা সমর্থন জানিয়েছি। পরবর্তীতে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচী থেকে কিছু মহল রাজনৈতিক ফায়দা লাভের চেষ্টা করেছে। ৫মের অবরোধের দিন যারা নাশকতা করেছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। নির্বিচারে আলেম-উলামাদের দায়ী করা উচিত হবে না। তিনি এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতার প্রাণের দাবী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে বলেন, আরবী বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন নিয়ে কোন কালক্ষেপন করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। অবিলম্বে আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম জনতার দাবী পূরণ করুন।
আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন নিয়ে বহুমুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নাস্তিক-মুরতাদরা বিশ্বনবি (সা.)-এর মান-মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করতে সর্বদা লিপ্ত। এদেশের আউলিয়ায়ে কেরামের উত্তরসূরীরা এদের দাতভাঙ্গা জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, যারা আহলে সুন্নতের নাম ভাঙ্গিয়ে নাস্তিকদের পক্ষাবলম্বন করছে, এদেরই পূর্বসূরীরা সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরলভী (রহ.) এর সময় বৃটিশ ও শিখদের পক্ষাবলম্বন করে সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরলভীসহ অসংখ্য মুসলমানদের বালাকোট ময়দানে শহীদ করেছে। তাদের এ অপতৎপরতা বরদাশত করা যায় না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে তালামীযে ইসলামিয়ার সভাপতি নজীর আহমদ হেলাল বলেন, তালামীযে ইসলামিয়া ইসলামের প্রকৃত আকীদা প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত একটি আদর্শ ছাত্র কাফেলা। এ সংগঠনের প্রত্যেক কর্মী দ্বীনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, দেশে করুণ অবস্থা বিরাজ করছে তার থেকে দ্রুত উত্তরণ প্রয়োজন। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান, আলেম-উলামার ইজ্জত রক্ষা ও অবিলম্বে নাস্তিক-ব্লগারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় এর ফল শুভ হবে না।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার নাস্তিক-মুরতাদদের পক্ষ নিয়েছে। অবিলম্বে নাস্তিক-ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে। অন্যথায় আগামী দিনে এর জন্য সরকারকে কঠিন মূল্য দিতে হবে।
পৃথক পৃথক অধিবেশনে সিলেট পূর্ব জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ আহমদ আল জামিল ও পশ্চিম জেলা সভাপতি আখতার হোসাইন জাহেদের সভাপতিত্বে এবং সিলেট পশ্চিম জেলা সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ ও পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মোঃ শরীফ উদ্দিন, অফিস সম্পাদক মুজতবা হাসান চৌধুরী গিলমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ফজলুল হক খান শাহেদ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহিদ আহমদ, কেন্দ্রীয় সদস্য শফিকুল আলম, সিলেট মহানগর সভাপতি মুহিবুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ওলিউর রহমান সানী, হবিগন্জ জেলা সভাপতি মোঃ আফতাব উদ্দিন, সুনামগন্জ জেলা সভাপতি আবুল ফজল মোঃ তোহা, শাবি সভাপতি দুলাল আহমদ, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাছুম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী।
সকাল ১০টা থেকে নন্দিত ক্বারী সাইদুল ইসলাম আসাদের কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সুচিত ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাবি সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ রাজু, সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সুমন, মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, আব্দুল মুহিত রাসেল, মাওলানা খছরুজ্জামান, তৌরিছ আলী, মামুন আহমদ, আহসান মাহমুদ শিপন, আব্দুল করিম, জাবেদুল হক জাবেদ, কামাল আহমদ, আমীর হুসেন, রাসেল আহমদ, আব্দুস সামাদ, সুরমান আহমদ, আব্দুল হাছির, জিয়াউল ইসলাম প্রমুখ।
হরতাল সমর্থনে নগরীতে শিবিরের মিছিল-সমাবেশ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ
কামারুজ্জামানকে ট্রাইব্যুনাল-২ কর্তৃক প্রদত্ত ন্যায়-নীতি ভ্রষ্ট রায়
প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ঘোষিত আগামী ১২ মে
রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সর্বাতœক পালনের আহ্বান জানিয়েছেন
সিলেট মহানগর শিবির নেতৃবৃন্দ।
শনিবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরীর উদ্দ্যোগে হরতাল সমর্থনে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এই আহব্বান জানান। ছাত্রশিবির এর কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগীর সভাপতি এড. আনোয়ারূল ওয়াদুদ টিপু’র সভাপতিত্বে, সেক্রেটারী আব্দুর রাজ্জাক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিম উদ্দিন এর পরিচালনায় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন-মহানগর শিবিরের অর্থ সম্পাদক মুহিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক সুহেল আহমদ, দপ্তর সম্পাদক মোজাম্মেল হক, প্রকাশনা সম্পাদক মাজহারূল ইসলাম, বিমান বন্দর থানা সভাপতি জোবায়ের আহমদ প্রমুখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর নেতৃবৃন্দকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে যে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে এ রায় তারই অংশ। বর্তমান সরকার এ দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন এবং ইসলামের ধারক বাহক, আলেম-ওলামাদের ও মসজিদ, মাদ্রাসা ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সরকার সে ষড়যন্ত্রই বাস্তবায়নের চূড়ান্ত অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এদেশের ছাত্র-জনতা তাদের এই অপচেষ্টা কোনদিন পূরণ হতে দেবেনা। তারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আহূত আগামী ১২ মে রোববারের দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সর্বাতœক সফলের জন্য সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে আহবান জানান।
শনিবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরীর উদ্দ্যোগে হরতাল সমর্থনে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এই আহব্বান জানান। ছাত্রশিবির এর কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগীর সভাপতি এড. আনোয়ারূল ওয়াদুদ টিপু’র সভাপতিত্বে, সেক্রেটারী আব্দুর রাজ্জাক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিম উদ্দিন এর পরিচালনায় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন-মহানগর শিবিরের অর্থ সম্পাদক মুহিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক সুহেল আহমদ, দপ্তর সম্পাদক মোজাম্মেল হক, প্রকাশনা সম্পাদক মাজহারূল ইসলাম, বিমান বন্দর থানা সভাপতি জোবায়ের আহমদ প্রমুখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর নেতৃবৃন্দকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে যে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে এ রায় তারই অংশ। বর্তমান সরকার এ দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন এবং ইসলামের ধারক বাহক, আলেম-ওলামাদের ও মসজিদ, মাদ্রাসা ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সরকার সে ষড়যন্ত্রই বাস্তবায়নের চূড়ান্ত অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এদেশের ছাত্র-জনতা তাদের এই অপচেষ্টা কোনদিন পূরণ হতে দেবেনা। তারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আহূত আগামী ১২ মে রোববারের দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সর্বাতœক সফলের জন্য সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে আহবান জানান।
No comments:
Post a Comment